প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত পরামর্শ
অত্র কার্যালয়াধীন পরিচালিত শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে শহর সমাজসেবা উন্নয়ন প্রকল্প পরিষদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
জীবিকা নির্বাহ করে বেঁচে থাকতে হলে, আজকের দিনে কম্পিউটার শিখতেই হবে। এই কথাটা আর নতুন করে বলবার কিছু নেই। শুধু যে কম্পিউটার সংক্রান্ত কাজ করতে হলেই কম্পিউটার ব্যবহার প্রয়োজন, তা নয়। যে কাজ কম্পিউটার-নির্ভর নয়, সেখানেও কম্পিউটার জানা একটা অতিরিক্ত যোগ্যতা বলে বিবেচিত হয়। এক জন কর্মীর যদি কি-বোর্ড কী করে চালাতে হয় জানা না থাকে তা হলে সামান্য ই-মেল চেক করা বা তার জবাব দেওয়াই ঝকমারির পর্যায়ে চলে যায়। কম্পিউটারের ব্যবহার এক জন কর্মীর উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ। আসলে কম্পিউটার শিক্ষা হল এটা একটা প্ল্যাটফর্ম, জীবন গড়ে নেওয়ার জন্য যে ট্রেনেই আপনি উঠতে চান না কেন, এই প্ল্যাটফর্মে আপনাকে পৌঁছতেই হবে।
শহর সমাজসেবা কার্যালয়, বরিশালের মাধ্যমে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ০৬ (ছয়) মাস মেয়াদী "কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন" কোর্স প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রতি ব্যাচে ৯০(নব্বই) জন বেকার মহিলা ও পুরুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক সনদ পত্র প্রদাণ করা হয়।
বছরে জানুয়ারি-জুন ও জুলাই-ডিসেম্বর সেশনে ০২(দুই) বার ভর্তি করানো হয়। ভর্তির জন্য ডিসেম্বর ও জুন মাসে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে ভর্তি বাছাই পরীক্ষার মাধ্যমে ৯০(নব্বই) জন চুড়ান্ত ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে।
এখানে মেধাবী গরিব, অসহায়, দলিত হরিজন, হিজড়া সম্প্রদায় ও এতিম নিবাসী ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে।
শহর সমাজসেবার ০৬ (ছয়) মাস মেয়াদী "কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন" প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে অনেক প্রশিক্ষনার্থী বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ লাভ করেছে।
প্রত্যেক প্রশিক্ষনার্থী যখন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তাদের জন্য নির্ধারিত একটি কম্পিউটারে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকে। এখানে প্রতিমাসে প্রশিক্ষনার্থীদের মাসিক অগ্রগতি দেখার জন্য মাসিক পরীক্ষার নেওয়া হয়ে থাকে।
উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হচ্ছে এখানে মাহিলা ও পুরুষকে আলাদা আলাদা ভাবে এবং মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস