বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে সেলাই, তাঁত ও নকশি কাঁথার কাজ, ইলেকট্রিক ও কাঠের কাজে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছেন ৩৭০ কয়েদি। পাশাপাশি কারাবিধি অনুযায়ী মওকুফ হচ্ছে সাজাও। এসব ব্যক্তিকে উৎসাহ প্রদান করতে বুধবার সকালে কারাভ্যন্তরে সভা করে সেলাই মেশিন ও পোশাক বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসন সমিতি বরিশালের উদ্যোগে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন -সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মো. রফিকুল ইসলাম, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার শাহ আলম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আল মামুন তালুকদার ও প্রবেশন কর্মকর্তা সাজ্জাদ পারভেজ, রিয়াজ উল কবির রেজিন প্রমুখ। ভান্ডারিয়ার বাসিন্দা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তাঁত ঘরের ইনচার্জ মিলন তালুকদার জানান, তাঁতের কাজ করে অর্জিত টাকায় নিজের দৈনন্দিন মেটাচ্ছেন। তাই পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে টাকা নিতে হয় না। স্বামী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত জাহানারা বেগম জানান, এখন কাজ করে সাজা মওকুফের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বলে জানান তিনি। সভায় জেলা প্রশাসক উপস্থিত হাজতি ও কয়েদিদের উদ্দেশে বলেন, মুক্তির পর কোনো প্রলোভনে না পড়ে নিজের বিবেককে কাজে লাগিয়ে অপরাধ থেকে বিরত থাকতে হবে। অতীতের মুক্তি পাওয়া ৭০ কয়েদিকে ভ্যানগাড়ি ও সেলাই মেশিন দিয়ে স্বাবলম্বী করা হয়েছে। সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে আপনাদেরও সেই সহায়তা করা হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস